কী নামটা শুনে ভ্যাবাচ্যাকা খেলেতো!
জানতাম,
তুমিতো বাংলার কাঙালী,
তোমার ভেতরতো এইটা করার সামর্থ্য আছে।
আছে না?
বোধহয় বাঙালীর নেই!
তবে তোমার মতো কিছু
কাঙালী-কাপুরুষ এর আছে!
যারা দিনে দুপুরে দেবীদের
চোখ দিয়ে গিলে খায়,
রাতে কিংবা নির্জন জায়গায়
দেবীদের ধরে স্বার্থ হাসিল কর!
কী লাভ তোমার?
সাময়িক সুখের জন্য
একটা দেবীকে কলংকিত করছো!
কী লাভ তোমার?
তোমার সাময়িক সুখের কারণে
আজ হাজার দেবী নির্বিঘ্নে
চলাফেরা করতে দ্বিধা করে!
কী লাভ তোমার?
কী উত্তর নেই তাইতো…?
জানতাম,
সময় একদিন আসবে যেদিন তুমিও বুঝবে
কী যাতনা একজন কলংকিত দেবীর,
কী যাতনা একজন কলংকিত দেবীর পরিবারের।
কী যাতনা–
যখন সমাজ তাদের হেয় করে,
যখন তোমার মতো কাপুরুষের দ্বারা
তারা কলংকিত হয়!
কী?
সময়টা নিয়ে ভাবছো তো?
জানতাম!!!
ভাবতে হবে না তোকে,
আমিই বলে দিচ্ছি!
ধরো তো—
একদিন তুমিও এই জগতে বাবা হবে,
তোমারও সংসার থাকবে।
হতে পারে তোমারও
একটা দেবীর মতো দেবী থাকবে
কিংবা ধরো–
তোমারও একটা দেবীতুল্য বোন আছে।
কী? আমার কথা বুঝছো না তো
বুঝিয়ে দিচ্ছি—
তোমার সেই দেবীতুল্য দেবী কিংবা বোন
একদিন বড় হবে
রাস্তায় চলাফেরা করবে।
কী? করবে না?
জানি করবে!
চিন্তা করো তো–
তোমার দেবীকে কী
তোমার মতো কোনো কাপুরুষ
চোখ দিয়ে গিলে খাবে না তো?
হতেও তো পারে যে
কোনো একদিন হঠাৎ একটা শকুন এসে
রাতে কিংবা নির্জন সময়ে
কোনো একটা স্থানে,
তোমার দেবীকে ধরে নিয়ে যাবে!
কী? ধরে নিয়ে কী করবে জানো তো?
তোমার চেয়ে বেশি কে জানবে?
হ্যা, তোমার মতো
তোমারই মতো তোমার দেবীকে
সে সাময়িক সুখের বস্তু বানাবে!
তখন বুঝবে,
কী যাতনা কলংকিত দেবীর!
তব সাবধান হও!
নতুবা তোমার কর্মের ফল তোমার কাছেই
ফিরে আসবে!
সম্মান কর দেবীদের,
চোখ নিচে রেখে চল,
গিলে খেয়ো না!
জানোতো গিলে খেলে কী হয়?
গলায় আটকে যাবার সম্ভাবনা থাকে!
দেবী-ধর্ষণ
Mohammad Sakib
0 Comments